নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামগাতী গ্রামে শিকল বন্দী ছেলের জন্য নতুন ঘর, বাবা বানাবেন ঝালমুড়ি বিক্রীর জন্য নতুন গাড়ি। নগদ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা ও পোশাক পেয়ে তৃপ্তির হাসিতে সিদ্দিকের পরিবার।
আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে নগদ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা ও তিন জনের পোশাক ৩ হাজার টাকা। মোট ৬১ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা মামুন বিশ্বাস।
তিনি জানান,আলহামদুলিল্লাহ এই কৃতিত্ব ফেসবুক বন্ধুদের, এই কৃতিত্ব ফেসবুক বন্ধুদের। আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অসহায় পরিবার সব কিছু পেয়ে অন্য রকম খুশি হয়েছে।
তিনি আরও জানান,সিদ্দিক বয়স ২৩ বছর। এ বয়সে আর-দশজন মানুষের মত চলাফেরা কথা থাকলে মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে শিকলে বন্দী। মা জোবেদা বেগম ও শারীরিক প্র’তি’ব’ন্ধী। দরিদ্র পিতা ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবার বিরাট পাহারের মত বোঝা হলেও পিতার স্নেহের কমতি নেই সন্তান ও স্ত্রীর প্রতি।
সিদ্দিকের বা জোবেদা বেগম জানানা, আমার হাতে আর পায়ে বল নেই। আমার ছেলে ভাল থাকলে বিয়ে করাতাম তার ছেলেপেলে হতো। তিনি আরো জানান আমি ভাত রান্না করতে পারি না দেখে কত কথা কয়।
সিদ্দিকের বাবা গোলাম হোসেন জানান,৫ মেয়ের পর একটা সন্তান তাও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা লাগে এটা যে কত কস্টের তা আপনাদের বুঝাতে পারবো না। ৩ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি তাদের অভাবের সংসার তারা আমার বাড়ীতে বেশি থাকে। ছেলেকে কত জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্ত কোন লাভ হয় না।
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামগাতী গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে সিদ্দিক।
Leave a Reply