স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি নলকূপের গোড়ার ১০ ফুট মাটি খুঁড়ে শাহীন শাহ (৪০) নামে এক পরকীয়া প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওমান প্রবাসী আয়ুব আলীর স্ত্রী হুসনে আরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার জলন্দা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) শরিফ আল রাজীব লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া শাহীন সদর উপজেলার দস্তানাবাদ গ্রামের নজির শাহর ছেলে। তিনি নাটোর আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।

শাহীনের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত সোমবার আদালতের কাজ শেষে করে বাড়িতে যান শাহীন। সেসময় হুসনে আরা ফোনে শাহীনকে ডেকে নেন। সেই দিন রাত থেকেই শাহীনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গত বুধবার শাহীনের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।’

হুসনে আরার বড় ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, ‘একটা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে শাহীনের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব। তখন থেকেই আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল শাহীনের। কোন সময় সে (শাহীন) আমার বোনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছে বুঝতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোনকে সিংড়ায় বিয়ে দিয়েছি। স্বামী আয়ুব আলী বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকেই হুসনে আরা আমাদের বাড়িতেই থাকেন।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শাহীনকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ।