নজরুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ শিয়ালকোলের সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার নানা সমস্যায় জর্জরিত। ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়েছে কার্যক্রম। বাচ্চা উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রান্তীক খামারীদের এক সময়ে লাভজনক হলেও অব্যবস্থাপনা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে বর্তমানে ধ্বংস হতে বসেছে জেলার সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার প্রতিষ্ঠানটি।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, ত্রুটিপূর্ণ শেড, জরাজীর্ণ ভবন ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে বাচ্চা উৎপাদন ও খামার বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়।
আরো জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ডিমের দাম নিচ্ছে ৮টাকা। ১২জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিপরীতে সরকার প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে ৪লাখ টাকা বেতন দিয়ে আসছে। শেডে থাকা ১হাজার মুরগি পালনে প্রতিদিন গড়ে ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ ডিম হওয়ায় এতে প্রতি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৪৫-৫০ টাকা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খামারে ৬৪ হাজার বাচ্চা উৎপাদন সক্ষম হ্যাচারী হাউজ ৮টি শেডের মধ্যে ৪টি পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। বাকি ভবনগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে। টিনের চালগুলো মরিচা পড়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেখা মেলেনি আধুনিক ব্রæডার হাউজ। ১৯৮২সালে প্রতিষ্ঠান শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত নতুন কোন পন্য কেনা হয়নি বলে অনেকেই জানান। ত্রæটিপূর্ণ ও পুরানো যন্ত্রপাতি হওয়ায় বাচ্চা উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রায় ১বছর ধরে বন্ধ আছে।
সিরাজগঞ্জ মুরগি খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি। প্রতিটি শেড পুরনো হয়ে গেছে, ফলে বৃষ্টি পানি পড়ছে। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে হাঁস মুরগি প্রজনন উন্নয়ন খামারের সহকারি পরিচালক মজিবর রহমান জানান, জনবলের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছি না। বিষয়টি জোড়ালো ভাবে দেখা হব।
Leave a Reply