নজরুল ইসলাম:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া রসিদে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্তে প্রমান মেলায় জড়িতদের সতর্ক করলেন তত্ত্বাবধায়ক ডা: রতন কুমার রায়।
ভুয়া রসিদ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন নামের এক যুবকসহ আরো ৫/৬জন অবৈধ উপায়ে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলে সহকারি তত্ত্বাবধায়ক ডা: সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা: রতন কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমরা নজরে ছিল না। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ঘটনাটির বিষয় জানতে পারি। তাৎক্ষনিক তদন্ত টিম গঠন করে প্রাথমিক ভাবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি এবং সংবাদটির সত্যতা মিলেছে। গত ২জুলাই ২০২৪ তারিখে নোটিশের মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। অন্যায়,অপরাধ কোনভাবেই মেনে নিবো না। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল কোম্পানীর নিকট থেকে থেকে ইসিজি মেশিন গ্রহণ করে যা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইসিজি ও ডায়াবেটিকস পরীক্ষা করার পদ্ধতি চালু করে। কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ডিজিটাল কায়দায় রশিদ ভাউচার জাল করে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। ইসিজি ও ডায়াবেটিসের পরীক্ষা বাবদ ভুয়া রশিদ দিয়ে ফি আদায়। পরীক্ষার প্রয়োজন নেই এমন রোগীকে ইসিজি ও ডায়াবেটিকস পরীক্ষা না করা হয়, তবে তার সাথে খারাপ আচারণ ও রোগী ভর্তি হলেই ইসিজি ও ডায়াবেটিকস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীগন। যা মূল্য বাবদ ইসিজি ৮০ টাকা ও ডায়াবেটিকস পরীক্ষা বাবদ ৫০ টাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। মাসে প্রায় সরকারি রশিদ নয়, ভুয়া রশিদ কেটে প্রতিটি বিভাগ থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করা হয়।
Leave a Reply