নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জ কর্তৃক দুইটি রাজ ধনেশ’সহ ০২ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১০ মে ২০২৩ খ্রিঃ) তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর তথ্য ও দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ রওশন আলী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, এসআই(নিঃ)/মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম এর নের্তৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ ওয়াদুদ আলী পিপিএম, এসআই(নিঃ)/মোঃ ইশানুর রহমান ও এএসআই(নিঃ)/মোঃ মিন্টু মিয়া, পিপিএমসহ সঙ্গীয় ডিবি’র অফিসার ও ফোর্স এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সামাজিক বনায়ন নার্সারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিশেষ টহল বাহিনী সিরাজগঞ্জ মোঃ মামুনুর রশীদ খান ও সঙ্গীয় স্ট্যাফ মোঃ নবয়ুত আলী, অফিস সহকারী’দ্বয়সহ সিরাজগঞ্জ থানা এলাকায় বন্যপ্রাণী রক্ষায় যৌথ অভিযান পরিচালনা কালে খ্রিঃ
১০ মে বুধবার সময় দুপুর ১৩.৪৫ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ থানাধীন পৌরসভার অর্ন্তগত বাজার স্টেশানস্থ সম্পা হোটেল এন্ড সুইটস এর সামনে পাকা রাস্তার উপর ধৃত আসামী ১। মোঃ আতোয়ার হোসেন(৫২), পিতা-মৃত অছিমুদ্দি, মাতা-মৃত ছুবিয়া বেগম, সাং-ডাঙ্গাপাড়া, থানা-দুঁপচাচিয়া, জেলা-বগুড়া ২। মোঃ শামিম আহমেদ(২৯), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ রাহেলা বেগম, সাং-শষ্যমালা পশ্চিমপাড়া, থানা ও জেলা-ময়মনসিংহ’দ্বয়ের হেফাজত হইতে দুইটি রাজ ধনেশ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ‘রাজ ধনেশ’ পৃথিবী জুড়ে অনেক মূল্যবান পাখি। বাংলাদেশ বিলুপ্ত প্রায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই পাখির অনেক অবদান। কোন কোন রাজ ধনেশ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের হতে পারে। বাংলাদেশ প্রজাতিটি একেবারেই বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে এটি বিরল অথবা বিলীন হয়েছে। একসময় সম্ভবত সব মিশ্র চিরসবুজ বনেই রাজ ধনেশ বাস করতো। এখন চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য বন বিভাগের গহিন বনে কোথাও দু’একজোড়া চোখে পরে কালেভদ্রে।
বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাজ ধনেশ পাওয়া যায়। পাখি নিধন আইনত নিষেধ। কিন্তু চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। অসাধু কিছু চক্র ধনেশ পাখি শিকার করে ‘ধনেশের তেল’ বিক্রি করে। এছাড়া পাহাড়িরা মাংস হিসেবে ধনেশ ধরে খায়। এমনকি প্রজনন কালে স্ত্রী-ধনেশ যে ডিমে তা দেয়, কুঠির ভেঙে ওই ডিমও পাহাড়িরা খায়। ফলে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে ধনেশরা। সারা দেশে তাদের সংখ্যা খুবই কম। যে কটা টিকে আছে, তা তাদের নিজেদের যোগ্যতা বলেই।
গ্রেফতারকৃত আসামীর পিসি/পিআরঃ ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ আতোয়ার হোসেন(৫২) এর বিরুদ্ধে পূর্বে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ ধারায় একটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
পরাগ সাহা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ আতোয়ার হোসেন(৫২)’কে ০১ বছর সাজা ও ০২ নং আসামী মোঃ শামিম আহমেদ(২৯)’কে ০৩ মাসের সাজা প্রদান করেন।
Leave a Reply