আলী আশরাফ,সিরাজগঞ্জ :
১ কিলোমিটারে ৫ জায়গা ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের কারণে আসন্ন বন্যায় ঝুঁকিতে পড়বে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ। বন্যার সময় কোন দূর্ঘটনা ঘটলে শহরে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হবে পুরো সিরাজগঞ্জ শহর সহ আশেপাশের উপজেলা। ১কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য কোন ড্রেজারের পাইন স্থাপন না করার ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: হোসেন আলী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ বরাবর সহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। গত ২০ জুলাই ২০২ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দাখিল করারও পরও ২২ জুল্াই ২০২৩ইং তারিখে বালু উত্তোলন করার জন্য পাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সিরাজগঞ্জ পৌরসভর ৭নং ওয়ার্ডের রাণীগ্রাম ও কোবদাসপাড়ায় চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করে ব্যবসা করার পায়তারা করছে। এই ড্রেজারের পাইপ শহর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে আনা হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে থাকে এবং আমরা ৭নং ওয়ার্ডবাসী আতঙ্কে থাকি। চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ স্থাপন করার কারণে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন হয় এবং বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এছাড়াও বালু বাহিত পানি এসে আমাদের ঘর বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার সৃষ্টির হওয়ার কারণে আমাদের জীবনযাপন ও পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করার অসুবিধা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার রাণীগ্রাম ক্লোজার মোড় থেকে লেবুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার শহররক্ষা বাঁধের মধ্যে ৫টি জায়গায় যমুনা নদী থেকে বালু উত্তালন করার জন্য ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করা হচ্ছে। ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করলে আসন্ন বন্যায় যেকোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যমুনা নদীর পানি রাণীগ্রাম ও কোবদাসপাড়ায় প্রবেশ করে সিরাজগঞ্জ শহরে প্রবেশ করবে। আসন্ন বন্যায় শহররক্ষা বাঁধে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে সিরাজগঞ্জবাসী বড় ধরনের বন্যার কবলে ও ক্ষতিসাধন হবে।
শহররক্ষা বাঁধের নিচে বসবাসকারী টুম্পা খাতুন বলেন, আমার ঘরের মধ্যে দিয়ে বালুখেকোরা পাইপ স্থাপন করছে। বালু খেকোদের থেকে যদি কেউ আমাকে নিরাপত্তা দেয়, তবে আমি তার কাছে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভা কাউন্সিলর হোসেন আলী বলেন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সরকারি ৭টি দফতরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। তবে বালু উত্তোলনের জন্য পাইপ স্থাপনের কাজ এখনো চলমান। প্রশাসনের লোক বিষয়টি দেখছে না।
সিরাজগঞ্জ পওর উপ-বিভাগ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পুর), রনজিৎ কুমার সরকার জানান, সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি আগে দেখব। যদি আসন্ন বন্যায় শহররক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হলে, বাঁধের উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করতে দিব না। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply