এইচএম মোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে অসংখ্য শিশু আছে যারা বিভিন্ন ঝুঁকিপুর্ন কাজে নিয়োজিত। এদের মধ্যে অনেক শিশু স্কুলে গিয়ে ঝড়ে পড়েছে। আবার অনেক শিশু স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি। শ্রমজীবি শিশুদের শিক্ষায় একটি মডেল হলো শিক্ষামুলক কর্মব্যাগ। শ্রমজীবি শিশুরা নিয়মিত স্কুলে আসে না এবং যা শেখে তাও ভুলে যায়। সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার চরমালসাপাড়া বস্তিতে অবস্থিত জয়ফুল লার্নি স্কুলের অর্ধেকেরও বেশী শিশু নানা ঝুকিপুর্ন কাজে নিয়োজিত।
এদের পরিবার অত্যান্ত দরিদ্র হওয়ায় প্রতিদিন তাদের কাজে যেতে হয়। এই শিশুদের কিভাবে স্কুলের বাইরেও পড়াশোনা মনে রাখাতে পারে এজন্য একটি বিশেষ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। শিশুরা যখন বিভিন্ন পন্য রাস্তা থেকে কুড়াতে যায় তখন তারা এই চটের ব্যগটি ব্যবহার করে। এই ব্যাগের সাথে ক্লাসে শেখানো বর্নমালাগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী সোহান মোল্লা বলেন, স্কুল করলে টাকা আয় করতে পারবো না, এজন্য মা বাবা মারধর করবে ও খেতে দেবেনা। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কাজে যেতেই হবে।
এখানে আমরা সপ্তাহে ২ দিন ক্লাস করি। যে জিনিসগুলো শিখি তা যাতে মনে রাখতে পারি এজন্য ম্যাডাম আমাদের বিশেষ একটি ব্যাগ দিয়েছে। এতে করে আমরা পড়া ভুলিনা। গ্লোবাল ফান্ড ফর চিল্ড্রেন এর সহযোগিতায় উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজএ্যাডভান্টেজড পিপল (ডিডিপি)। ডিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী সোহেল রানা বলেন, কর্মজীবি শিশুদের জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি যাতে অন্যরা এটিকে অনুসরণ করতে পারে। শিশুরা কাজে গিয়েও শিখছে। এতে তারা একদিকে যেমন কাজের পাশাপাশি স্কুলে শেখানো বর্ণমালাগুলোও মনে রাখতে পারছে। অন্যদিকে তাদেরকে লেখাপড়ায় মনযোগী করার জন্য এপদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
Leave a Reply