ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবরকে দুই বছর আগে দোকানের ভিতরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে নিহতের স্ত্রী হাসি বেগম বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে তিনি বলেন, দলীয়, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবরকে গুলি করে হত্যা করেছে নবিদুল ইসলাম (চেয়ারম্যান সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ) এবং তার সহযোগীরা। মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. প্রতীক, সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিগেন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাধীন, সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজ মোল্লা, সাত নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মুলবাড়ির যুবলীগ কর্মী সুজন এবং রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল মুন্সিবাড়ির যুবলীগ কর্মী লিটনসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হাসি বেগম বলেন, আমাদের জীবনও থমকে গেছে। আতঙ্কে স্বাধীনভাবে চলাফেরাও করতে পারি নাই।
হাসি বলেন, আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। বিচার চেয়ে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। আসামিদের অনেক টাকা ও ক্ষমতা, তারা হুমকি দিয়ে বলছে আমাদের অবস্থাও আকবরের মতো হবে। তাই আমরা চাই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম হোক। নাহলে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবো।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গাফিলতির কারণে বিচার শুরু হয় নাই। সুষ্ঠু বিচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামী হত্যার বিচার দাবি করব। আমি মারা গেলে আমার সন্তানরা বিচারের জন্য লড়াই করে যাবে। আমার স্বামী বিএনপি করতো বলে আওয়ামী লীগ সরকার আমার স্বামী হত্যার বিচার করে নাই।
Leave a Reply