নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জে প্রথম স্মার্ট স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করল হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার সকালে হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সুলতান মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ড হাতে দিয়ে স্মার্ট বিদ্যালয় ঘোষণা করেন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জেলার প্রথম কোন স্কুল শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে প্রথম এমন কাজ শুরু করলো। যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবক সহজেই তার সন্তানের স্কুলে আগমন ও বের হবার সময় জানতে পারবে। এতে অভিভাবকরা চিন্তামুক্ত থাকবে। একই সাথে স্কুলের সকল কার্যক্রম মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবে। বর্তমান সময়ে যেটি খুব প্রয়োজন ছিলো। আর সেটিই করে দেখিয়েছে হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। স্মার্ট নেতৃত্বই স্মার্ট পরিকল্পনা বহন করে।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ জানান, নিজের সন্তানের বাড়ি ফেরা নিয়েও তিনি যেমন শংকিত থাকেন। তেমনি স্কুলের সভাপতি হিসেবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও নিয়েও তিনি শংকিত থাকেন। বিগত সময়ের বাজে অভিজ্ঞতার রেশে কাটাতেই স্কুলকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, পড়াশোনা যাবতীয় নোটিশ সহ স্কুলের নির্ধারিত ফি প্রদান করতে পারবে স্মার্ট এ্যাপের মাধ্যমে, এতে যেমন সময় বাঁচবে পাশাপাশি সন্তানের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা সহজ হবে।
স্মার্ট স্কুল পরিচালনায় কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ইডুম্যান এর কর্মকর্তা রবিউল সিদ্দিক জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট করতে ৪টি ক্যাটাগরির প্রয়োজন হয়। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল ক্লাশরুম সহ অন্যান্য সুবিধা এই বিদ্যালয়ে রয়েছে। আজ শিক্ষার্থীদের উপিস্থিতি ডিজিটালাইজড এর মাধ্যমে এই স্কুলটি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। স্কুলে পৌছার আধঘন্টার মধ্যেই তাদের অভিভাবকরা জানতে পারবে, তার সন্তান স্কুলে পৌছেছে কিনা। আর খুব অল্প সময়রে মধ্যেই শিক্ষার্থীরা তাদের সকল কার্যক্রম এ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকের দেয়া হোমটাস্ক সহ স্কুলের নির্ধারিত সকল ফি পরিশোধ করতে পারবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এলিজা সুলতানা, হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আরা প্রমূখ।
উল্লেখ,এসময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সকল পর্যায়ের স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে এক আনন্দ ঘন উৎসবে পরিনত হয়।
Leave a Reply