সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিন (১৯) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২’র সদস্যরা। নিহত নাসরিন সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর মধ্য-পশ্চিমপাড়া মহল্লার নাসির উদ্দিনের মেয়ে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ ও ৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকা আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অভিযান তালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত রোমান ওরফে নোমান (২৫) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মোহনপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল র্যাব-১২ এর কোম্পানী স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিন তার পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে দুই বছর যাবৎ বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে রোমান ওরফে নোমান ও নাসরিনের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের কারনে নোমান নাসরিনকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেত। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৬ অক্টোবর বিকেলে নাসরিনকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নোমান ও তার ৩ থেকে ৪ জন বন্ধু মিলে অপর বন্ধু আকাশের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরের দিন ভোরে নোমান তার বন্ধুদের সহযোগিতায় নাসরিনকে অচেতন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাসরিনকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর মর্গের সামনে মরদেহ ফেলে রেখে নোমান নাসরিনের বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল মর্গের সামনে থেকে নাসরিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই নাসরিনের বাবা নাসির উদ্দিন বাদী সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সদর থানা পুলিশ নোমানের বন্ধু আকাশকে গ্রেফতার করে।
Leave a Reply