বিশেষ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় খাল খননে মৃত ব্যক্তির নামে স্বাক্ষর ও ভুয়া মাষ্টার রোল বানিয়ে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন এবং জেলার একাধিক রাস্তায় নিম্ন মানের কাজ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই কোটি টাকার বিল প্রদানে অনিয়ম করে নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ ভদ্রাবতী খাল খননে মৃত ব্যক্তির নামে টাকা উত্তোলনে নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে আবার তদন্ত পায়। এর আগে গত ১৭ জুলাই দুদক আঞ্চলিক পাবনা অফিস সরেজমিনে তদন্তে অনিয়ম পায়। এদিকে জানা যায় অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের মামলা অনুমোদন জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তারা ২৫ সেপ্টেম্বর তাড়াশ বারুহাস ও কুন্দাইল রাস্তার কাজে ১২ কোটি টাকার তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পায়। দীর্ঘ ৪৬দিন পার হলেও আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকা অফিসে জমা দেয়নি পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলাম। আরো জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একের পর এক নিজ দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অধীনস্থ কর্মকর্তাদের বদলী এবং শোকজ প্রক্রিয়া চলমান রেখেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে চার থেকে পাঁচ দফা মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রতিবারই জানান, অচিরেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ব্যাপারে ঠিকাদার কবির তালুকদার জানান, ৪৬ দিন অতিবাহিত হলেও আজও প্রতিবেদন জমা দেননি, এতে নবীউল ইসলামের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন আঁতাত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। নবিউল ইসলামের অতীত রেকর্ডও ভালো না। তার নামেও হয়েছিল মামলা।
এছাড়াও অদক্ষতার কারনে গত অর্থ বছরে এ জেলার ২৭ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে। এ অর্থ ফেরত যাওয়ায় জেলার সর্বস্তরের মানুষ বিস্মিত হয়েছেন।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ব্যাপারে আঞ্চলিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন আমার অফিসে এখনো জমা হয়নি।
Leave a Reply