এইচএম মোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছি মৎস্য চাষ প্রকল্পের সোনাখাড়া ইউনিয়নের বন্দিহার গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৮০ বিঘার জমি নিয়ে বিস্তৃত এই রুদ্র দিঘি। এই দিঘী ইতিহাস ও ঐতিহ্যময়।রুদ্র দিঘী বললে যে কেউ এটা চিনতে পারে এক নিমিষেই। কিন্তু এই রুদ্র দিঘী নিয়ে চলছে নানা অনিয়ম ও কারসাজি।পুকুর পাড়ের এক সুফল ভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই দিঘী পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রুদ্র দিঘীর সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন কমিটি হওয়ার পরেই স্থানীয় মৎস ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলামের কাছে দীঘিটি সাব লিজ দিয়ে দেন। কত টাকা সাব লিজ দিয়েছেন তাও সুফলভোগীরা কেউ জানে না।অথচ সাব লিজ দেওয়ার আইনগত কোন নিয়ম নেই। দিঘীর সদস্যদের লভ্যাংশের টাকা নিয়েও করা হয় নানা রকম নয় ছয়। নিয়মমত টাকা পান না অনেক সুফলভোগী সদস্য। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ওই সরকারি পুকুরের সুফলভোগী হবে পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা এবং তাদের মধ্য থেকে পরিচালনা কমিটির,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে। কিন্তু পূর্বে এ নিয়ম ঠিক থাকলেও এখন সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে পুকুর পাড়ের বাসিন্দা না হয়েও তারা রাজনৈতিক বলয়ের কারনে
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী, রামেনন্দ্র নাথ মাহাতো বলেন, আমি এই রুদ্র দিঘীর সভাপতি ছিলাম আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে জব্বার স্থানীয় এমপির কাছে থেকে ডিও লেটার নিয়ে এখানে অবৈধভাবে সভাপতি হয়েছেন। এখন আমি একজন সুফলভোগী হলেও আমাকে আমার লভ্যাংশের টাকা দেয়া হয় না। টাকা চাইলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। শুধু আমি না খোজ নিয়ে দেখেন অনেকেই সঠিক সময়ে টাকা পায় না।এ বিষয়ে দিঘী পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল জব্বারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, নিমগাছি মৎস্য চাষ প্রকল্পের নীতিমালা ২০১১ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, যদি কেউ এই দিঘী নিয়ে অনিয়ম করে থাকে তাহলে নীতিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Leave a Reply