নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
র্যাব-১২ এবং র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জের সা্য়দাবাদ এলাকার চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া খাতুন নাসরিন হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামী মোঃ নোমান গ্রেফতার। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মোহনপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) র্যাব -১২’র কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে
মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এবং র্যাব-৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আশুলিয়া থানাধীন পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুমাইয়া খাতুন নাসরিন (১৯) হত্যা মামলার পলাতক এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ রোমান @ নোমান (২৫) পিতা-মৃত, তোফাজ্জল সাং-পূর্ব মোহনপুর, থানা- সিরাজগঞ্জ সদর, জেলা-সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার মামলা নং-৩১ তারিখ-০৮/১০/২৩, পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ভিকটিম মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন নাসরিন এর পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে দুই বছর যাবৎ বাবার বাড়িতে বসবাস করতো। পরবর্তীতে মোঃ রোমান ও সুমাইয়া খাতুনের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোঃ নোমান মাঝে মধ্যেই সুমাইয়া খাতুন নাসরিনকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেত। গত ৬ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ বিকেলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে মোঃ নোমান ৩/৪ জন বন্ধু সহ তার অপর বন্ধু আকাশের বাড়িতে নিয়ে যায়। ভোরে রোমান তার বন্ধুদের সহযোগিতায় সুমাইয়া খাতুন নাসরিনকে অচেতন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর মর্গের সামনে মরদেহ ফেলে রেখে রোমান সুমাইয়ার বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে সংবাদ জানিয়ে পালিয়ে যায় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।
র্যাবের এই ধরণের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়।
Leave a Reply