নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৩নং ইউপি সদস্য মোন্নাফ খন্দকারের নের্তৃত্বে তার খালু আব্দুল জলিল ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একজন ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ড ও অবৈধভাবে জমি দখলের এমন অপ তৎপরতা মাঝে মধ্যেই চালানো হয় বলে একাধিকসূত্রে জানা গেছে।
পরে ইউপি সদস্য মুন্নাফ খন্দকার ও তার বাহিনীর সাথে মারমুখী আচরনের কোবলে পরে দখলে থাকা আনোয়ার হোসেন গং ৯৯৯ এ পুলিশে খবর দিলে তাৎক্ষনিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা যায়, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের শিয়ালকোল গ্রামের আনোয়ার হোসেন পাশার ভোগ দখলীয় জমিতে হানা দেয় মোন্নাফ মেম্বার ও তার আত্মীয় আব্দুল জলিল গং। তারা জমির আইলে মেহগনি গাছসহ নতুন করে আইল বেঁধে জমি দখলের চেষ্টা করলে আনোয়ার হোসেনের পুত্র বুল্লু সেখ তাতে বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জলিলের ভাগ্নে বগুড়া পুলিশে কর্মরত মোঃ আব্দুল আওয়ালও সেখানে উপস্থিতে থেকে আনোয়রের সাথে বাক বিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। চরম উত্তেজিত মোন্নাফ মেম্বারের খালু জলিলগং- এর সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেড়ে আনোয়ার হোসেন ৯৯৯ পুলিশে খবর দেয়।
ভূক্তোভোগী আনোয়ার হোসেন পাশার জানায়, শিয়ালকোল মৌজার ৪টি খতিয়ানের অন্ততঃ ১০০টি দাগের ১০০ শতাংশ জমির মালিক মোন্নাফ খন্দাকারের খালু আব্দুল জলিল গং এর মাতা জয়গুন বেওয়া। কোন কোন দাগে .০০৫০ (আধাঁ) শতাংশ বা তারও কম জমির মালিক জয়গুন বেওয়া। পরিমানে অতিব ক্ষদ্র হওয়ায় এসব জমিতে চাষ-আবাদ অসুবিধা হওয়ায় রেকর্ডীয় অন্য মালিকগণের সাথে চাষ-আবাদের সুবিধার জন্য মৌখিক ঘরোয়া বন্টনের ভিত্তিতে কয়েকটি দাগে তাদের প্রাপ্য হিস্যার সকল জমি বুঝে নেয়। ২০০৯ সালের পূর্বে কাত ভিত্তিক জমি রেজিষ্ট্রেশনের সুবিধা থাকায় জয়গুন বেওয়া এবং তার ওয়ারিশেরা প্রাপ্ত সকল জমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। ক্রেতাগণ তাদের নিজ নিজ নামে খারিজাদি খুলে অদ্যবধি পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছে।
২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, ভুক্তভোগী আনোয়ার গং বিষয়টি মিমাংসার জন্য একাধিকবার মুন্নাফর মেম্বারের কাছে আবেদন নিবেদন করলেও তাদের কথায় কর্ণপাত না করে ক্ষমতা খাটিয়ে খালু আব্দুল জলিলের পক্ষে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশ দেখতে পাই পরে মিমাংসার জন্য আমাদের স্থানীয়ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার এ এস আই হোসাইন বলেন, ৯৯৯ খরব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আইন শৃংঙ্খলা পরিস্তিতি যাতে কোন পক্ষের দ্বারা অবনতি না হয় সে বিষয়ে আমার উভয় পক্ষেকে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার জন্য বলে এসেছি।
Leave a Reply