নজরুল ইসলাম:
প্রকল্প বাস্তবায়নে দূর্নীতি, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং প্রাপ্ত ১% অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অনাস্থাও চেয়েছে পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে) রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইউনিয়ন পরিষদের ৯জন সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান অনাস্থাপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, তিন অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা হইতে প্রাপ্ত ১% অর্থ কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে তা আত্মসাত করে আসছেন চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক। উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে কোনটা আংশিক কোনটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাত করছেন। তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও আত্নসাৎ করেছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার ক্ষেত্রে কোন প্রকার রেজুলেশন ছাড়া নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিগণের নাম সুপারিশ করে উপজেলা পাঠাচ্ছেন। ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকা উপজেলা পাঠিয়েছেন। তিনি মিটিং না করে ভয়-ভীতিও হুমকি-ধামকি দিয়ে ইউপি সদস্যগণের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন। তিনি একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও ইউপি সদস্যগণের জন্য কোন প্রকার বসার ব্যবস্থা রাখেন নাই। এমন দূর্নীতিগ্রস্থ ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সাথে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকায় অনাস্থা জ্ঞাপন করেনে ইউপি সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে বার বার ফোন করেও ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply