মো:সেলিম রেজা, রায়গঞ্জ প্রতিনিধি
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার সিরাজগঞ্জ জেলায় রোপা-আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার ধুম। ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষাণীরাও বসে নেই। তারাও বাড়ির উঠোনে দিনরাত কাজ করে চলেছেন।
এদিকে এই উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরও অন্তত ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে আগাম কাটা শুরু করা ধানের মধ্যে বিনা-৭, বিনা-১৭ জাতের ধানের বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ১৮-২০ মণ। গতকাল রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে চলতি মৌসুমের রোপা-আমন ফসল সম্পর্কে এসব তথ্য ওঠে আসে।
বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার মধ্যে ,তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ,উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আগামজাতের ধান কাটা শুরু করেছেন।
নলকা গ্রামের ছাইদুল ইসলাম,রাশিদুল,শহিদুল, মাহমুদুলসহ একাধিক কৃষক জানান, এ বছর রোপা-আমনের ক্ষেতে তেমন রোগবালাই ছিল না। ফলে অনেক কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়েছে
শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও শেষমুর্হুতে অতি বৃষ্টির কারণে ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ফলনে। তাই কাঙ্খিত ফলন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় সাড়ে ২১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু চাষ হয়েছে ২২হাজার ৪৩৩ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৪৭৩ হেক্টর বেশি। এরমধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ জমিতে ব্রি ধান-৪৯, ১৫-২০ ভাগ জমিতে বিনা-৭ ও বিনা-১৭ জাতের ধান লাগানো হয়েছে।
এছাড়া অবশিষ্ট জমিতে অন্যান্য কয়েকটি জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যেই বিনা-৭, ব্রি ধান-৭৫ ও বিনা-৭ জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে রোগবালাইয়ের আক্রমণ ছিল না বললেই চলে। তাই এবার আমনের ফলন ভালো হবে। তবে মৌসুমের শেষমুর্হুতে এসে অতিবৃষ্টি হয়। এতে নিচু এলাকার কিছু কিছু জমি পানিতে তলিয়ে গেলেও তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হবে না।
কারণ বৃষ্টির পানি দ্রুতই জমি থেকে নেমে গেছে। তাই পানি নেমে যাওয়া জমিতে তেমন ক্ষতি হবে না। সবমিলিয়ে বলা যায়, এই উপজেলায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
Leave a Reply