নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২০ সালের ০৭ জুলাই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ইউএনও আনিসুর রহমান। এরপর ২ বছর ৯ মাস ইউএনও হিসেবে কাজ করার সুবাদে উপজেলার সকল অফিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে মিশেছেন কাজ করেছেন সুসম্পর্ক বজায় রেখে।
যমুনা নদী বিধৌত বেলকুচি উপজেলার এক চর হতে অন্য চরে ঘুরে বেড়িয়েছিন কর্তব্যের খাতিরে। কাজের সুবাদে পরিচয় হয়েছে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ সকল স্তরের জনগণের সাথে। সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চত্বরকে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের অন্যতম জনবান্ধন ও দৃষ্টিনন্দন চত্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিশুদের চিত্ত বিকাশের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি শিশু পার্ক স্থাপন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। “জনসেবার জন্য প্রশাসন” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বেলকুচি উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর প্রদান, বাল্যবিবাহের অভিশাপ দূর করার চেষ্টা,ভিক্ষুক পুনর্বাসন করা,ইভটিজিং,মাদক ও জুয়া বন্ধ করা,দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করেছেন। নিজের মনে করে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করেছেন সুনামের সাথে এবং শিখেছেন আরও অনেক মধুময় কিছু।
বিদায় বেলা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মমিন মন্ডল,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ,বেলকুচি পৌর মেয়র ও ইউ.পি চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধির প্রতি যারা সকল কাজে ওনাকে সহযোগিতা করেছেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ এবং জনাব মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর প্রতি।
ইউএনও বলেন, যারা আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি ডিডিএলজি স্যার, সকল এডিসি স্যার,এসিল্যান্ডসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী,সাংবাদিক ও সুধী সমাজের প্রতি যারা আমার কাজে সকল সময়ে উৎসাহ যুগিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি উপজেলার জনগণের প্রতি যারা আমাকে কাজে সহযোগিতা করেছেন,কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। সত্যি যমুনা নদী বিধৌত তাত সমৃদ্ধ উপজেলা বেলকুচি কর্মজীবনের স্মৃতির মনের মনিকোঠায় চিরকাল থাকবে। আমি বিশ্বাস করি বেলকুচির সবাই যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করে তবে একটি সুখি সমৃদ্ধ বেলকুচি গড়ে তোলা সম্ভব। বেলকুচি উপজেলাকে খুবই মিস করব,মিস করব যমুনা নদীকে এবং এখনকার সাধারণ মানুষকে।পরিশেষে, “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,…………… তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে” ভালো থেকো প্রিয় বেলকুচি।
Leave a Reply