নজরুল ইসলাম:
আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ এবং তার ছোট ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম।
রোববার (১৪ই এপ্রিল) রাত পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার সমেশপুর গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তারা এ হামলার শিকার হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোমবার (১৫ই’এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী আকন্দ বাদি হয়ে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে, এ ঘটনায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আতাউর রহমান, রবিন হাসান রকি, জুয়েল পারভেজ, মো. তায়েম, আল আমিন, মো. আলভী, মো. মাহাদী, শামীম হোসেন, মো. সবুজ, মো. রুবেল, মো. আসমত, মো. ছাত্তার, রবিন কর্মকার ও মো. উজ্জল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলী আকন্দের সাথে আসামিদের বিরোধ চলছিলো। রোববার রাতে তিনি তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট ভাই আবুল কাশেমের সাথে কথা বলছিলেন। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আতাউর রহমানের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল যোগে ৪০-৪৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আকস্মিকভাবে মোহাম্মদ আলী আকন্দকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন তিনি।
এক পর্যায়ে তাকে বাঁচাতে ছোট ভাই আবুল কাসেম এগিয়ে গেলে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ও মারপিট করে গুরুতর জখম এবং একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক জানান, সকালে মোহাম্মদ আলী আকন্দ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
Leave a Reply