সেলিম তালুকদার,শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর এলাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ভিতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির জ্বালানী তেলবাহী একটি ট্যাংকলরীর ইঞ্জিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (০৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হঠাৎ তেলবাহী একটি ট্যাংকলরীর ইঞ্জিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে
এ আগুন দ্রুত ট্যাংকলরীর কেবিন ও সামনের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ট্যাংলরীর কেবিন ও সামনের সবগুলো চাকায় আগুন ধরে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের নৌ ফায়ার সার্ভিস,শাহজাদপুর ও বেড়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে একযোগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পানিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা প্রথমে রাসায়নিক ফোম ও পরে বালু ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর কয়েকজন কর্মচারি ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ভিতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির পয়েন্ট থেকে তেল উত্তোলন করে ট্যাংকলরীটি বগুড়রি দিকে যাওয়ার জন্য দাড়িয়ে ছিল।
হঠাৎ ট্যাংকলরীটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলে তা মূহুর্তে কেবিন ও সামনের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোর শ্রমিকরা প্রাথমিক ভাবে আগুন নিভাতে ব্যার্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের নৌ ফায়ার সার্ভিস,শাহজাদপুর ও বেড়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে একযোগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পানিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা প্রথমে রাসায়নিক ফোম ও পরে বালু ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু এখনও ইঞ্জিনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে এ আগুন লাগার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো বাঘাবাড়ি নৌবন্দর এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের নৌ ফায়ার সার্ভিসের লিডার ফজলুল হক বলেন, বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ভিতরে মেঘনা ওয়েল কোম্পানির জ্বালানী তেলবাহী একটি ট্যাংকলরীর ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কাজ শুরু করি। এরপর শাহজাদপুর ও বেড়া থেকে আরও ২টি ইউনিট এসে আমাদের সাথে যুক্ত হয়। যেহেতু এটা দাহ্যপদার্থ তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে একটু সময় লেগেছে। ইঞ্জিনে এখনও আগুন জ্বলতে থাকলেও আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।
পরে রাসায়নিক ফোম ও বালু ব্যবহার করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। এ বিষয়ে বাঘবাড়ি ওয়েল ডিপো ইনচার্জ ও যমুনা ওয়েল কোং এর ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মোহাম্মদ সাদেকিন বলেন,আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এছাড়া এ অগ্নিকান্ড থেকে বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোতে অবস্থিত জ্বালানী তেলের ট্যাংকার গুলি নিরাপদ দূরত্বে থাকায় আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
Leave a Reply