আলী আশরাফ, সিরাজগঞ্জঃ
প্রফেসর এস এম মনোয়ার হোসেন এর দক্ষ পরিচালনায় যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউটে শিক্ষার গুণগত মান ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান ও পরীক্ষা অভাবনীয় সাফল্য ছাড়া শিক্ষাঙ্গনের কাঠামো ও পরিবেশ উন্নত হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা সংলগ্ন ২০০০ সালে যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানকালীন ৪টি ট্রেডে ৮০জন শিক্ষার্থী ও ১০জন শিক্ষক ও ৬ কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করলে বর্তমানে ৬টি ট্রেডে ৯ম ও দশম শ্রেণিতে পূর্ণাঙ্গ সিট নিয়ে ৪৮০জন শিক্ষার্থী ও ১৭জন শিক্ষক ও ১৩জন কর্মচারী রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম মনোয়ার হোসেন গত ১.১২.২০১৭ইং তারিখে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে ৬টি -ইলেক্টটিক্যাল, ইলেক্টনিক্স, অটো মোবাইল, ফুড এন্ড ভেজিটেবল, এ্যাপারেল (ড্রেস) ও সিভিল কনক্ট্রাকশন ট্রেডে ২০১৮ সাল থেকেই প্রায় শতভাগ সাফল্যের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১৮৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৮জন শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৩জন শিক্ষার্থী। শতকরা পাশের হার ৯৪.১৮%।
এস এম মনোয়ার হোসেন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউট সম্প্রসারণে ২০শতক জমি ক্রয়, শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার জন্য ১’শ ৫০হাত নতুন ঘর তৈরী, শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের আরামদায়ক ভাবে বসার জন্য ১’শ জোড়া লোহার বেঞ্চ ক্রয়, ইন্সটিটিউটের চারিদিকে পাকা বাউন্ডারি, সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে গেট নির্মাণ, সৃজনশীল পড়াশোনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবী করে তুলতে ৬টি ট্রেডে স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্রপাতি ক্রয়, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ওয়াই ফাই সংযোগ, প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণি কক্ষে ইলেক্টিসিটি, সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছেন।
এছাড়া যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউটটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে প্রফেসর এস এম মনোয়ার হোসেন। প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করেছেন বায়োমেট্টিক হাজিরা। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে অভিভাবকরা নিশ্চিত হতে পারছেন, কখন তাদের সন্তানেরা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে, কখন প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করছে।
যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউট এর শিক্ষার্থীদের গুণগত মান আরো বৃদ্ধি ও সামনে পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ১৭জন শিক্ষক ও ১৩জন কর্মচারী প্রতিষ্ঠানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
যমুনা কারিগরি ইন্সটিটিউট এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর এস এম মনোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণ শিক্ষার চেয়ে ভোকেশনালের শিক্ষা গ্রহণ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করার পর চাকুরী জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ভোকেশনাল শিক্ষা গ্রহণ করার পর চাকুরীর জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ভোকেশনাল শেষ হওয়ার সাথে সাথেই একজন শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হয়ে বের হয়। শিক্ষার্থী পাশ করার পর তার বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ভোকেশনালের একজন শিক্ষার্থী একটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক বছরই ভোকেশনালে সিলেবাস পরিবর্তন হয়। সিলেবাস পরিবর্তনের সাথে সাথেই ভোকেশনালের শিক্ষার্থীদের উপকরণ দেওয়া হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা ভালভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। সিলেবাস পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথেই এর উপকরণ দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
Leave a Reply