সামিউল হক শামীম,তাড়াশ প্রতিনিধিঃ
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করতে রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলংগা’র সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগীতা দিলেন তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী এবং ভিক্ষুক সুশান্ত মজুমদারকে।
মঙ্গলবার (১৬মে ২০২৩) রাত ৯ টায় ঢাকাস্থ
পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল নিজ চেম্বারে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাদের হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা তুলে দিলেন।
এসময় সুশান্ত’র স্ত্রী শিল্পী রানী এবং কণ্যাদ্বয় নপুরবালা ও লক্ষী বালা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালে স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় কর্মহীন সুশান্ত’র অসহায়ত্বের খবর প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে ন্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ নগদ টাকা এবং একটি নতুন অটোরিক্সা উপহার দেন।
উপহারের অটোরিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে সুশান্ত’র পরিবার মোটামুটি ভাবে অতিবাহিত করছিলেন।
২০২২ সালে হঠাৎ একদিন মেয়ে নুপুরবালার হাতের আঙ্গুলের চাপ লেগে অটোরিক্সার চাকা সুশান্ত’র শরীরের ধাক্কা দেয় এবং সুশান্ত মেরুদন্ডে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সংসারের একমাত্র উপার্জনের সম্বল অটোরিক্সা বিক্রি করে চিকিৎসা গ্রহন শুরু করেন।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে কর্মহীন সুশান্ত অভাব অনাটন লাঘবে পরিবার নিয়ে পারি জমান ঢাকায় এবং পেশা হিসাবে বেঁচে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। গত কয়েক মাস যাবৎ ভিক্ষা করে খেয়ে না খেয়েই চলছিল তার সংসার। হঠাৎ দেখা হয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজের সঙ্গে। আর তখনই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে সুশান্তের। স্ত্রী সন্তানের খোজ নিয়ে ডেকে নিলেন নিজ চেম্বারে।
আর্থিক সহযোগীতা পেলে ভিক্ষা ছেড়ে অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন সুশান্ত।
আর তখনই অটোরিক্সা ক্রয়ের টাকা সহযোগীতা দিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি ছেড়ে পুনর্বাসন করে দিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ।
সহযোগীতা পেয়ে সুশান্ত মজুমদার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সুশান্ত ভিক্ষা বৃত্তি ছেড়ে আবারো অটোরিক্সা ক্রয় করে ভাড়ায় চালাবেন।
Leave a Reply