1. 24sirajganj@gmail.com : Md Masud Reza : Md Masud Reza
  2. admin@dailysirajganjnews.com : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে খামারিদের মাঝে গো-খাদ্য বিতরণ করলেন -এমপি   হাবিবে মিল্লাত মুন্না  সিরাজগঞ্জে নগর দরিদ্র সু-রক্ষা ফোরামের ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হৃদরোগে আক্রান্ত মুনিয়া, সন্তানকে বাঁচাতে বাবা-মায়ের আকুতি সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক স্বপ্নসারথি দলের জীবন দক্ষতা সেশন অনুষ্ঠিত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসিনা সরকার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল আর আল্লাহ তাকেই দেশ থেকে বিদায় করে দিয়েছে-মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে রাজশাহীর জনসভায় সিরাজগঞ্জের গনমানুষের ঢল ২শ’ কোটি ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের জনগণের সঙ্গে থেকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন : তারেক রহমান তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দরপত্রে ৮কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ ধানগড়া কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত                 

অপরিকল্পিত নদী খননে বিফলে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩০কোটি টাকার প্রকল্প

  • Update Time : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৯৫ Time View

নজরুল ইসলাম:
নদীর পাড়েই ফেলা হচ্ছে বালু। এদিকে পাড় থেকে বালু না সরালে নদীর পাড় ধ্বসে পুনরায় নদী ভরাট ও ফসলের ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের ইছামতি নদী খননে চলছে প্রকল্প বাস্তবায়ন অপরদিকে অপরিকল্পিত নদী খননের কারনে সরকার বিপুল পরিমান টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেকু মেশিন ব্যবহার না করে আধুনিক ড্রেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে এই প্রকল্পের অর্থ অর্ধেকে নেমে আসতো। কৃষকের ফসলের ক্ষতি ও পুনরায় নদী ভরাট এর পরিবর্তে উত্তোলনকৃত বালু ইজারার মাধ্যমে বিক্রি, মৎস্য চাষ ও দীর্ঘ মেয়াদী খনন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রকল্প থেকে ব্যায়ের চাইতে আয় বেশি হতো। অথচ অপরিকল্পিত এই খনন কাজে সরকারের প্রায় ৫০কোটি টাকা খোয়া যাচ্ছে। এ যেন সরকারের অর্ধশত কোটি টাকা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের নলকা এলাকার ইছামতি নদী এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ টি বেকো দিয়ে নদী খননের কাজ করছে । নদীর পাড়েই ফেলা হচ্ছে বালু। যা পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিতেও ভরাট হচ্ছে।

এসময় উপজেলার কয়াবিল গ্রামের কৃষক হান্নান মিয়া জানান, যেভাবে নদী খনন হচ্ছে। এতে বৃষ্টি কিংবা বর্ষা হলে বালুর পাড় ধ্বংসে ফের নদীতেই পড়বে। এটা কেমন খনন কিছুই বুঝতে পারছি না।
জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা থেকে কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী পর্যন্ত ইছামতি নদী খনন কাজ শুরু করছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ বাস্তবায়ন করছে। ১২০ ফুট প্রস্থ ও ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে নদীর ৪০ কিলোমিটার। বেকো মেশিন দিয়ে খনন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এদিকে ৪০ কিলোমিটারে বালু উত্তোলন করা হয়েছে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ঘন ফুট। বেকো মেশিন দিয়ে খননের পরিবর্তে ড্রেজিং পদ্ধতিতে  খনন করলে কী পরিমাণ ব্যয় হতো? এ বিষয়ে যমুনা ড্রেজিং কোম্পানির সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং পদ্ধতিতে খনন করলে প্রতি ঘনফুটে ২ টাকা করে ব্যয় হলে খরচ হতো প্রায় ১৩ কোটি। যা বেকো দিয়ে খননের অর্ধেকেরও অনেক কম।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম শীতল জানান, সরকার এক কিলোমিটার পর পর নির্দিষ্ট পরিমাপে বালু উত্তোলনের ইজারা দিলে এবং নির্দিষ্ট জায়গায় স্তুপ করে ব্যবসায়ীরা বালু বিক্রি করলে ফসলি জমির ক্ষতি হতো না। এতে নদী তীরে বালু জমাও থাকত না। নদীতে বিপুল পরিমান মাছ চাষ করা যেতো। এদিকে অর্থ অপচয় হতো না। আর এটা থেকে সরকারের ৫ ধরনের রাজস্ব আয় হতো। তিনি আরো বলেন, ৪০ কিলোমিটারে প্রায় ৬ কোটি ৬৫ লাখ ঘন ফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতি সেপ্টি বালুর বাজার মূল্য কমপক্ষে ৬ টাকা হলে সেই বালু প্রায় ৪০ কোটি টাকা বিক্রি করা যেত। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় বালু বিক্রিও করা যাচ্ছে না। আর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করা হলে তা ১০ বছরেও আর খননের প্রয়োজন হতো না। অন্য দিকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার মাছের চাহিদাও পূরণ হতো। নির্দিষ্ট জায়গায় ড্রেজিং এর ফলে বালু উত্তোলনে পরিবহনে সহজ হতো ও জেলায় বালুর চাহিদাও মিটতো।

সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ডাঃ জহুরুল হক রাজা বলেন, নদী খননের কাজ পরিকল্পিতভাবে ইজারা দিলে খরচের কয়েক গুন রাজস্ব পেত সরকার। নদীতে মাছ চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমান আয় হতো। নদীর পানি ব্যবহারের ফলে কৃষকের ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পেত। নদী খননে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ অপচয় হতো না। প্রতি বছর নদী খনন করতে হতো না, এমনকি বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে কৃষকের ফসলও নষ্ট হতো না।

বেকো দিয়ে নদী খনন স্মার্ট পরিকল্পনা কিনা এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনন কাজ আমাদের পুরনো পদ্ধতিতেই চলছে। প্রতিদিন নদী পাড় থেকে অনেক অভিযোগ আসছে। আসলে নদী খনন করতে অবশ্যই স্মার্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। নদীর বালু ইজারা দেব কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। ইজারা দিতে না পারলে ওই বালু জমিতে পড়ে কৃষকের ক্ষতি হবে। তবে এই প্রকল্পের আওতায় সরকারের সঠিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
  • © All rights reserved © 2023 Daily Sirajganj News
Website Developed by UNIK BD
x