এইচ এম মুকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরকীয়া করার অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী এক নারী।
আজ শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং) সকালে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্যে ভুক্তভোগি লিমা খাতুন নামের এক নারী ও ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক ও চিকিৎসক ডা: জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে একাধিক পরেকিয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি তিনজন স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর সর্বশেষ তিনি একজন বিবাহিত মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে লিমা খাতুন নামের ওই নারীর সংসার ভেঙ্গেছেন। পরকিয়া প্রেমিককে দিয়ে কৌশলে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে নিজে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নানাভাবে পরকিয়া প্রেমিকের স্ত্রীকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। লিমা খাতুন বলেন, ডাঃ জেবুন্নেসা আমার স্বামী ফিরোজ আহমেদ এর মালিকানাধীন হাটিকুরুল এলাকায় অবস্থিত হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রুগী দেখার সুবাদে আমার স্বামীর সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমার স্বামীর হাসপাতালের সাথে ২৫% শেয়ার হন। এরপর থেকে তিনি আমাদের বাসাতে থাকতেন তখন থেকেই আমার স্বামী ফিরোজ আহমেদ এর সাথে পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এবিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার স্বামীকে বললে আমার স্বামী আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। আমি আমার ১১ বছরের শিশু বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে ওমনি সংসার করতে থাকি। এরমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে ডাঃ জেবুন্নেসা তার তিন নাম্বার স্বামী ডাঃ শওকতুল বারীকে তালাক দিয়ে আমার স্বামীকে গোপনে বিয়ে করে।এরপর থেকে আমার স্বামী ফিরোজ ও ডাঃ জেবুন্নেসা মিলে আমাকে নির্মমভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে এবং আমাকে স্বেচ্ছায় ডিভোর্স দিতে বলেন। না হলে আমাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তাই ডাক্তার জেবুন্নেসাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্র প্রতিনিধি শাকিল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল হান্নান সরকার, ছাত্রনেতা শিশির প্রমুখ।
Leave a Reply