মোঃ মনিরুল ইসলাম,চলনবিল প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হারুনার রশিদের অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপানের দৃশ্য দেখা গেছে। সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজনের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে
গত সোমবার ( ৬ই মে )দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সচিবের প্রকাশ্যে ধূমপানের চিত্র গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পরে।
এসময় দেখা যায়, ইউপি সচিব হারুনার রশিদ চেয়ারে বসে ঠোটে সিগারেট নিয়ে কম্পিউটারে কাজ ও কাগজ পত্র ঠিক করে যাচ্ছেন।এক হাতে জন্মসনদ কার্ড ও আরেকহাতে সিগারেট পাশেই তার চেয়ারে বসে আছেন এক ইউপি সদস্য।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,সচিবের অফিস চলাকালিন সময় ধূমপান নতুন কিছু নয় অনেকেই বাচ্চাসহ আসেন জন্মসনদ কার্ড উত্তোলন বা ঠিক করাতে৷সচিবের এমন প্রকাশ্য ধুমপান বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলে৷
তার এমন কর্মকান্ডে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ বিব্রতবোধ করে দ্রুত পরিষদ ত্যাগ করে চলে যাওয়াকেই ভালো মনে করেন।ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে আগত জণসাধারণের ক্ষতি হলেও কিছু যেন করার নেই সচিবের!
২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে সরকার। কিন্তু কিছু দুর্বলতার কারণে আইনটি ততটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই ২০১৩ সালের মে মাসে আইনটি সংশোধিত আকারে পাস হয়। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ পাস হয় সংশোধিত আইনের আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০১৫। সংশোধিত আইন ২০১৩ ও বিধিমালা ২০১৫-তে নারী-শিশুসহ সব অধূমপায়ীকে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার থেকে রক্ষায় কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে ‘পাবলিক প্লেস’ ও ‘পাবলিক পরিবহনে’ ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ নলকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হারুনার রশিদ দেশের এমন কঠোর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রত্যেকদিন পরিষদে বসেই ধূমপান করে আসছেন।সে যেন সরকারি কোন নীয়মনীতির তোয়াক্কাই করেনা।শুধু কি তাই তিনি পরিষদে থাকাকালীন তার পরিচিত বা আত্নীয়স্বজন কিংবা কোন জনপ্রতিনিধিরাও আসলে তাদেরকেও ধুমপানে উৎসাহিত করেন।যাকে বলা হয় চায়ের বদলে সিগারেট আপ্যায়ন।
অফিসেই প্রকাশ্য ধুমাপনের বিষয়ে ইউপি সচিব হারুনার রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসে বসে ধুমপান করাটা অপরাধই হয়েছে,আমি অভ্যস্থ্য হয়েগেছি। এ নিয়ে আর কথা বাড়াইয়েন না। একসময় অফিসে এসে চা খেয়ে যাবেন।
নলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,পরিষদে অফিস চলাকালীন সময় ধুমপান করাটা অপরাধ। সেবা নিতে জনগন সচিবের দারস্থ্য হন সেখানে যদি উনি অফিসে বসেই ধুমপান করে থাকে অবশ্যই অপরাধ করেছে।
রায়গন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, অফিসে বসে কেউ ধূমপান করতে পারেনা। এটি অবশ্যই দণ্ডনীয় অপরাধ।সেবা নিতে আসা জনগণের সামনে ধুমপান করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply