এনামুল হক, সিরাজগঞ্জঃ
নেই কোন ইজারা, তবুও দেদাচ্ছে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলন করে পাহাড় সমপরিমাণ স্তুপ করে রাখা হয়েছে। অপরদিকে অবৈধ উত্তোলিত বালু মহাসড়কের পাশ দিয়ে পাইপ দিয়ে পরিবহন করার কারণে পাইপ ফেটে পানি প্রবাহিত হওয়ায় মহাসড়কের এক পাশে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে যেকোন সময় ঘটতে পারে ধরনের দূর্ঘটনা। তবুও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বন্ধে প্রশাসন নেয়নি কোন ব্যবস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের নলকা ব্রীজের পশ্চিমে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে ফুলজোড় নদী প্রবাহিত হয়েছে। ফুলজোড় নদীর নলকা ইউনিয়নের তিননান্দিনা থেকে ৩টি ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বলগেট ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তিকৃত বালুর বলগেট নলকা ব্রীজের নিচে আনলোড ড্রেজার স্থাপন করে পাইপের মাধ্যমে আলোকদিয়া পেট্টোল পাম্পের পশ্চিমে হোড়গাঁতিতে বালুর স্তুপ করা হচ্ছে। নলকা ব্রীজের পশ্চিমে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উত্তরপাশের্^ প্রায় ১ কিলোমিটার পাইপ স্থাপন করায় যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
(১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) রাতে বালুবাহিত পাইপ ফেটে তীব্র জোড়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় মহাসড়কে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পানি প্রবাহের কারণে মহাসড়কের নিচ থেকে মাটি সড়ে গিয়েছে। যেকোন সময় ভারী যানবাহন ডেবে বড় ধরনের দূর্ঘটনার ঘটতে পারে।
অপরদিকে তিননান্দিনা থেকে বালু ভর্তিকৃত বলগেট নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ বালু আনলোড করা হচ্ছে। বর্তমানে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক এর নেতৃত্বে পরিষদের পশি^ম পাশের্^ কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ করে রেখেছেন। বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলায় কোন সরকারি ইজারা না থাকা সত্তে¡ কিভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ হয়েছে তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?
আলোকদিয়া পেট্টোল পাম্পের পশ্চিম পাশে^ হোড়গাঁতিতে বালু স্তুপকারী জে কে কনস্ট্রাশন এর স্বত্ত¡াধিকারি তানভীর ইসলাম শুভ বলেন, হাটিকুমরুল ইন্টার চেঞ্জ এর সার্ভিস সেন্টার তৈরীতে বালু ভরাট করছি। এটি সরকারি প্রজেক্ট। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক বালু উত্তোলনের অনুমোদন নেওয়া আছে। তবে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদনপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। পানি বাহিত বালু পরিবহনের কারণে পাইপ ফেটে মহাসড়কের বড় গর্ত সৃষ্টি ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি মহাসড়কের গর্ত বালু ভর্তি করে দিব।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ বালু স্তুপ করার ব্যাপারে নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, সারাবছর ধরেই নদী থেকে এখানে বালু উত্তোলন করে স্তুপ রাখা হয়। কেউ বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেনি। তাই এবছরও বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রেখে বিক্রি করছি।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডল জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদীতে বালু উত্তোলনে সরকারিভাবে কোন ইজারা দেওয়া হয়নি। বালু উত্তোলন করতে কাউকে লিখিত অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। কে বা কারা বালু উত্তোলন করছে, উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply