শেখ মোঃ এনামুল হক,সিরাজগঞ্জঃ
৩বছর পূর্বে ইজারা ছিল। বালু উত্তোলনের ফলে কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার ফলে ৩ বছর ধরে ফুলজোড় নদীতে কোন ইজারা দেয়নি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পরবর্তী সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২ বছর চলছে নদী খনন। নদী খননও প্রায় শেষের দিকে। কোন কোন জায়গায় এখন সেনাবাহিনীর তত্তাব্যবধানে নদী খনন চললেও নলকা ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীতে বর্তমানে নদী খনন চলছে না। তবুও বর্তমানে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কিছু জায়গায় নদী খনন চললেও বর্তমানে রায়গঞ্জের নলকা ইউনিয়নের তিননান্দিনায় ফুলজোড় নদীতে নদী খনন চলছে না।
কিন্তু নলকা ইউনিয়নের তিননান্দিনায় বর্তমানে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। সেনাবাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় সমপরিমাণ বালু স্তুপ কররেছেন নলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক ও জে কে কনস্ট্রাকশন এর স্বত্ত¡াধিকার তানভীর ইসলাম শুভ। এবিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় (৫ সেপ্টেম্বর ২০৩ইং) তারিখে দুপুরে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী তৃপ্তি কণা মন্ডল নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে বালুর স্তুপে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে রায়গঞ্জের বালুখেকোদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল। রায়গঞ্জ উপজেলা সচেতন মহল বালুখেকোদের চিরতরে বিদায় করতে বর্তমানে নলকা ইউনিয়নের পশ্চিম পার্শ্বে পাহাড় সমপরিমাণ বালুর স্তুপ জব্দ করে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পাহাড় সমপরিমাণ অবৈধ বালু নিলামে বিক্রির দাবী জানান।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফুলজোড় নদীর তিননান্দিনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে।
তিননান্দিনায় নেই কোন ইজারা, তবুও দেদাচ্ছে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। তিননান্দিনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমপার্শ্বে পাহাড় সমপরিমাণ স্তুপ ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের আলোকদিয়া তেলে পশ্চিমপার্শ্বে হোড়গাঁতীতে পাহাড় সমপরিমাণ বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তবুও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বন্ধে প্রশাসন নেয়নি কোন ব্যবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে ফুলজোড় নদী প্রবাহিত হয়েছে। ফুলজোড় নদীর নলকা ইউনিয়নের তিননান্দিনা থেকে ৩টি ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বলগেট ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তিকৃত বালুর বলগেট নলকা ব্রীজের নিচে আনলোড ড্রেজার স্থাপন করে পাইপের মাধ্যমে আলোকদিয়া পেট্টোল পাম্পের পশ্চিমে হোড়গাঁতিতে বালুর স্তুপ করা হচ্ছে।
অপরদিকে তিননান্দিনা থেকে বালু ভর্তিকৃত বলগেট নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ বালু আনলোড করা হচ্ছে। বর্তমানে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক এর নেতৃত্বে পরিষদের পশি^ম পাশের্^ কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ করে রেখেছেন। বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলায় কোন সরকারি ইজারা না থাকা সত্ত্বে কিভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালু স্তুপ হয়েছে তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদীতে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবাবধানে নদী খনন হলেও তিননান্দিনায় বর্তমানে কোন নদী খনন হচ্ছে না। নদী খননে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে পরিবহন করে নিকটবর্তী স্থানেই স্তুপ করে রাখতে হবে। বলগেট ভর্তি করে দূরে কোথায় বালু পরিবহন করে নেওয়া যাবে না। আর ড্রেজারের মাধ্যমে বলগেটে বালু ভর্তি করা হলে সেখানে নদী খনন হবে না। নদী খননের পরিবর্তে আশে পাশের কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাবে।
Leave a Reply