1. 24sirajganj@gmail.com : Md Masud Reza : Md Masud Reza
  2. admin@dailysirajganjnews.com : unikbd :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে খামারিদের মাঝে গো-খাদ্য বিতরণ করলেন -এমপি   হাবিবে মিল্লাত মুন্না  সিরাজগঞ্জে নগর দরিদ্র সু-রক্ষা ফোরামের ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত চৌহালীতে নিখোঁজের একদিন পর চাচাতো দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার !  সিরাজগঞ্জে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় ডিআইজি,রাজশাহী রেঞ্জ এর যোগদান সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জসহ নতুন ৮ ডিসির নিয়োগ বাতিল তাড়াশে হামলা ও নাশকতার মামলায় সাবেক এমপি আজিজ সহ ৯৯ জন আসামী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা  সিরাজগঞ্জে মাজারে ভাংচুর, লুটপাট এবং করব খুঁড়ে দেহাবশেষ নিয়ে গেল “তৌহিদি জনতার” নামে সংগঠন  সিরাজগঞ্জে ভাটপিয়ারী জ.রা.সা. বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সিরাজগঞ্জে শ্রমিক নেতা আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রায়গঞ্জে নিহত সাংবাদিক পরিবারের পাশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু

নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ : ড. ইউনূস

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ Time View

 ঢাকা : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে, তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ আজ বৃহস্পতিবার ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্তি উপলক্ষ্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলেন। ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবী, যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, সকলকে স্মরণ করে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন,‘ছাত্র বিপ্লবে জঘন্য হত্যাকান্ডে নিহত সকলকে স্মরণ করছি এবং শ্রদ্ধা জানাই।’ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। আজ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্তি হলো।বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস উদযাপন করছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।’শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৃশংস গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-জনতা  ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র এবং একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদের।’তিনি বলেন, শহিদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করতে চাই এবং এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা-অজানা শহিদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্তেও আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’তরুণরা বিপ্লবের নায়ক উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছো।’ ‘বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাঁদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারা দেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছো’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি, তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।’বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকান্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’ তিনি উল্লেখ করেন, গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাঁরা এদেশে এসেছেন এবং তাঁদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি জুলাই এবং আগস্ট মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল তৈরি করার প্রয়াসে শীর্ষ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলেছি। আমরা খুনিদের প্রত্যর্পণ এবং স্বৈরাচারের সময় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তা দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি। সরকারের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে অন্যতম হল-  বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো, তাঁদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূরদূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোর পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, আমরা তাঁদের কখনোই ভুলবো না বলে তিনি দূঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন।বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করা হয়েছে জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত “গুম সংস্কৃতি” এর সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। আলাদাভাবে, আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সাথে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যথী।আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা বলপূর্বক গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সম্পর্কে জানতে পারবো। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সাথে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যাথী।’গত মাসের শেষের দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া  ভাষণের কথা স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের সরকার এ পর্যন্ত যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গ্রহণ করেছে, আমরা তার একটা প্রতিবেদন তুলে ধরেছি। আমরা রাজনৈতিক দল, সম্পাদক, ব্যবসায়ী নেতা, সুশীল সমাজের নেতা এবং কূটনীতিকদের সাথে ক্রমাগতভাবে বৈঠক করে যাচ্ছি। তারা আমাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়ে অভিভূত হয়েছি। আমাদের সাহসী ও দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও জাতি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন।’ সরকারকে এভাবে সমর্থন করায় তিনি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।৫ সেপ্টেম্বর এই স্মৃতিময় বিষাদ দিনে গণআন্দেলনে শহিদদের প্রতিটি পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের প্রতি  অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অন্তর্বতী সরকার প্রধান বলেণ,‘আমি সকল শহিদ পরিবারের সদস্যদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবো, কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা কখনই শহিদদের স্বপ্নের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুঃশাসন ও স্বৈরাচার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত পূরণ করা। এজন্য আমাদের প্রয়োজন একতা ও সমন্বয়।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তাঁরা আমাদের জন্য তৈরী করে দিয়েছেন, সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাঁদের স্মৃতিময় দিনে আবারো প্রতিজ্ঞা করলাম, তাঁদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
  • © All rights reserved © 2023 Daily Sirajganj News
Website Developed by UNIK BD
x