শামিউল হক শামীম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানা জামে মসজিদের মেঝে ঢালাইয়ের শুভ উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এই ঢালাই কাজের উদ্ভোধন করা হয়।
এ সময় সাংসদ অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারীগন সওয়াব পাবেন অনন্তকাল।
পবিত্র হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৫০)
তা ছাড়া মসজিদ নির্মাণ এমন একটি পুণ্যময় কাজ, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। যত দিন সেই মসজিদে আল্লাহর ইবাদত হবে, তত দিন নির্মাণকারী এর সওয়াব পেতে থাকে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সাত ধরনের আমলের প্রতিদান মৃত্যুর পর কবরেও জারি থাকে।
১. যে ব্যক্তি কাউকে দ্বিনি ইলম শিক্ষা দেবে। ২. যে নদী প্রবাহিত করতে সহযোগিতা করবে। ৩. অথবা কূপ খনন করবে। ৪. অথবা গাছ রোপণ করবে। ৫. অথবা মসজিদ নির্মাণ করবে। ৬. অথবা কোরআন বিতরণ করবে। ৭. অথবা সুসন্তান রেখে যাবে যে তার মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করবে। (আল বাহরুজ জাখখার : ১৩/৪৮৪)।
মসজিদ হলো মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র। এ কারণে রাসুল (সা.) হিজরতের প্রথম দিনই মসজিদ নির্মাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। মদিনায় হিজরতের সময় যাত্রাবিরতিকালে তিনি কুবা নামক স্থানে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন।
মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারীদের মহান আল্লাহ ভীষণ পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম, তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম বিএসসি, তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইকবাল হাসান রুবেল, তাড়াশ বাজারস্থ বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক, তাড়াশ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও অত্র মসজিদ নির্মানকাজের সমন্বয়ক মোঃ আব্দুস সালাস সহ মহল্লার বিভিন্ন মুসল্লীগন।
Leave a Reply