এইচএম ফারুক,তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে রুস্তম আলী নামের এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতার শিশু বলাৎকারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। রুস্তমের বাড়ি উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। রুস্তম আলী কামারগাঁ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বলাৎকারের ভিডিও টি। ফলে এমন নেক্কার জঘন্য ঘটনার জন্য যুবলীগ নেতার চরম শাস্তির দাবিসহ দলের পদ পদবি থেকেই বহিষ্কার সহ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি উঠেছে এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী একই গ্রামের জৈনিক ব্যক্তির ১০ বছরের ছেলেকে মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে যান।
সেখানে নির্জন পুকুর পাড়ে গাছের নিচে শিশুকে বলাৎকার করেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বলাৎকার করার সময় শিশুটিকে চিৎকার দিতে শুনা যায়। বলাৎকারের দৃশ্য টি মোবাইলে ধারন করে বলাৎকার কারি লম্পট রুস্তম আলী। ভিডিও ছড়ানোর পর মানুষের মুখে মুখে চলে আলোচনা সমালোচনা ও শাস্তির দাবি। প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও শিশুটির পরিবার ভয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নি।
এলাকাবাসী জানায়, রুস্তম ছোট শিশুদের টার্গেট করে টাকা ও মোবাইল কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে বলাৎকার করে শোনা যেতো, কিন্তু কোনো প্রমাণ না ও প্রভাব শালী হওয়াতে কেউ তাকে কিছু বলার সাহস পেতো না। সম্প্রতি জনক ব্যক্তির শিশুর সাথে বলাৎকারের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ায় নিজেদের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ঐ গ্রামের অভিভাবকরা।
আবার ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাব শালীরা মরিয়া হয়ে পড়েছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর পর থেকে লম্পট রুস্তম আলী আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে লম্পট রুস্তম আলী ও তার পরিবারের মানুষদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মতিউর রহমান বলেন, আমি গত পাঁচ দিন ধরে বাহিরে ছিলাম। বাড়িতে আসার পর ঘটনা শুনেছি। শিশুটির পরিবার আমাকে কোন কিছুই বলেনি। বললে থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply