সামিউল হক শামীম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নার্গিস বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতন পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে ঘরে তালা বদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধুর শশুড়, ননদ ও দেবরের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর)৷ রাত ৮টার দিকে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের সান্দা গ্রামের আনছের আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। দুই সন্তানের জননী নার্গিস বেগম ওই গ্রামের ইউনুস আলী (৪০)’র স্ত্রী।
এ দিকে তাড়াশ থানা পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবুধ মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গৃহবুধর শশুড় আনছের আলী, ননদ রাবেয়া খাতুন ও দেবর ইয়াকুব আলীকে থানায় নিয়ে এসে তাঁদের জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে।
গৃহবধুর স্বামী ইউনুস আলী জানান, বিশ বছর পূর্বে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে নার্গিস বেগমকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করি। আমাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান আছে। বড় ছেলে মো. নাঈম তাড়াশ কলেজে ১ম বর্ষে এবং ছোট ছেলে সাঈম গ্রামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেনীতে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
আর গৃহবুধ নার্গিসের বাবা মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে ঘরে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়।
তবে হত্যা না আত্মহত্যা এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জিজ্ঞসাবাদের জন্য গৃহবুধর শশুড়, ননদ ও দেবরকে থানায় নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি মরদেহ ময়না তদন্তের সিরাজগঞ্জ জেলায় পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে মামলা দায়ের প্রস্তুতিও চলছে।
Leave a Reply