তাড়াশ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্ত ও বিয়ে করা প্রস্তাব দেওয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ক্লাস বর্জন করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা আলীম মাদ্রাসা চত্বরে লম্পট শিক্ষক আজাহার আলীর বিচার দাবীতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে অভিযুক্ত গোন্তা আলীম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আজাহার আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা আলীম মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক আজাহার আলী একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিত। এক পযার্য়ে গোপনে শিক্ষক আজাহার আলী মাদ্রাসার অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে সেই ছাত্রীর বয়স বাড়ানোর জন্য ইউপি সচিবের কাছে যান। পরে জাল স্বাক্ষর বলে শনাক্ত হয়।
অভিযোগে আরো জানা, মাদ্রাসা ছাত্রীর পারিবারিকভাবে বিয়ে জন্য কোথাও থেকে প্রস্তাব আসলে লম্পট শিক্ষক সেই বিয়েগুলো ভেঙ্গে দেন ও নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করেন।
গোন্তা আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান জানান, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আজাহার আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদে ওই শিক্ষকের বিচার দাবীতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ছাত্র-ছাত্রীরা । মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আজাহার আলীর ০১৭৫৮০৭২১৩৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে এলাকায় একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও বলেন এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা আমার চাচা শশুর মো: আব্দুল মান্নান। তিনি তার মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অপবাদ দিছে। তিনি জানান এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে জানানো হয়েছে। তিনি কোন পতিকার না করে তালবাহানা করছেন।
এ ব্যাপারে গোন্তা আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল করিম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply