শামিউল হক শামীম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে শিক্ষিকা ভাবী নাছিমা খাতুনকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই দেবর আব্দুর রউফ (৪০)’র বিরুদ্ধে। মুহুর্ষ অবস্থায় ওই শিক্ষিকা মোছা. নাছিমা খাতুন (৪৬) কে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান।
জানা গেছে, ধামাইচ হাট বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও নওখাদা গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মজিবের সাথে তার সহোদর আব্দুর রউফের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি আব্দুর রউফ তাঁর বড় ভাই শিক্ষক মো. আব্দুল মজিবের জমি বার্ষিক লীজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। তবে তিনি গত এক বছর লীজ নেওয়া জমির লীজের টাকা পরিশোধ করেননি। বরং তিনি এ বছর বড়ভাই মো. আব্দুল মজিবের ওই জমি নিজের বলে দাবী করেন। এ নিয়ে ভুক্তোভোগী শিক্ষক গত ৩০ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যা মিমাংসার জন্য ১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই জের ধরে সকালে আব্দুর রউফের সাথে তার ভাই এবং নওখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ভাবী মোছা. নাছিমা খাতুনের কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে দেবর আব্দুর রউফ লাঠি নিয়ে ভাই ও ভাবীকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে শিক্ষিকা ভাবীর বাম হাত ভেঙ্গে যায়। পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী গুরুত্ব আহত হন। তাতেও রউফের রাগ না কমায় ওই দম্পতিকে প্রায় দুই ঘন্টা বাড়িতে আটকে রাখে এবং নির্যাতন করতে থাকে। পরে প্রতিবেশিরা একত্রিত হয়ে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
বিষয়টির সম্পর্কে শিক্ষক আব্দুল মজিব বলেন, আমাদেরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারিরিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
আর অভিযুক্ত আব্দুর রউফ ভাই ও ভাবীকে নির্যাতনের প্রসঙ্গে বলেন, উনারা যত নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তা তত না। ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে মাত্র।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষক দম্পতি থানায় মামলা করলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply