নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর নানা দূর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগকারীর কর্তৃপক্ষ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম এর একক ক্ষমতার দাফটে অফিসিয়ালভাবে গ্রহণ না করে উল্টো লাইন ডাইরেক্টরের কার্যালয়, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি), মহাখালী বরারর অভিযোগকারীর শাস্তি প্রদান করার জন্য মনগড়াভাবে চিঠি প্রদান করেন।
গত ২৪ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে সিরাজজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রােভাইডার মো: আশরাফুল আলম।
অভিযোগ দাখিল করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা অভিযোগকারী মো: আশরাফুল আলম এর নামে চাকুরীচ্যুত করার জন্য লাইন ডাইরেক্টরের কার্যালয়, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি), মহাখালী বরারর একটি সুপারিশ করেন। ডা: জাহিদুল ইসলাম এর সুপারিশের ভিত্তিতে লাইন ডাইরেক্টরের কার্যালয় থেকে ৩১ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে সিএইচসিপি আশরাফুল আলম এর উপর আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে কারণ দর্শানো নোটিশ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রাভাইডার মো: আশরাফুল আলমকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে বিভিন্ন বরাদ্দকৃত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, অ্যাপ্যায়ন বিল, স্টেশনারী পরিবহন বিলের উপর ৩৫% কর্তন করে প্রদান করে।
২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিলের অতিরিক্ত ৩৫% কর্তনের প্রতিবাদ করায় বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিভিন্নভাবে নাটকীয়ভাবে চিঠির মাধ্যমে হয়রানি আসছে।
এছাড়াও ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে পুষ্টি ট্রেনিং ৩০জনের অ্যাপ্যয়ন ভাতা, করোনা টিকা প্রদানের বিল, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের বিলের অর্থ আমাকে সঠিকভাবে প্রদান করেনি। আমি সহ উপজেলার যেকোন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অতিরিক্ত কর্তনের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে হয়রানি, অসৌজন্যমূলক আচারন ও অসম্মানজনকভাবে কথাবার্তা বলে থাকেন।
এছাড়াও ডা: জাহিদুল ইসলাম এর যোগদানের পর থেকে ৪ মাস পরপর পিকনিক, বিদায় অনুষ্ঠান, পিটুলী ভোজ, ইফতারি, ফল উৎসব এর নামে আমি সহ উপজেলার সকল কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এর কাছে জনপ্রতি নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ বসিয়ে চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে কর্মক্ষেত্রে ভুলত্র“টি, ক্লিনিকের আগমন-প্রস্থান এর ৫-১০ মিনিট কমবেশি হলে বিভিন্ন ধরনের চিঠি দিয়ে বরখাস্তের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। এখানে তিনি ক্ষ্যান্ত নন, চাঁদা ও বিলের কর্তনের বিষয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে বরখাস্ত করা হবে মর্মে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। এছাড়াও পিকনিক, বিদায় অনুষ্ঠান, পিটুলী ভোজ, ইফতারি, ফল উৎসবে চাঁদা প্রদান করার পরেও তার অসৌজন্যমূলক আচারণ, অসুলভমূলক কথাবার্তা না শোনার জন্য অনুষ্ঠানে আসতে চাই না। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্য তার অসৌজন্যমূলক আচারণ, অসুলভমূলক কথাবার্তা শোনার জন্যই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বরখাস্তের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানে আসতে বাধ্য করেন। যদি কোন ব্যক্তি না আসে তবে তাকে কৈফিয়ত তলব করে থাকেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রাভাইডার মো: আশরাফুল আলম জানান, আমার কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল্ ইসলাম একজন দূর্নীতি বাজ। তিনি ২০২০সাল থেকে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের দূর্নীতি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মাধ্যম করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। কিন্তু ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা সূকৌশলে অভিযোগটি গ্রহণ করে কোন রিসিভ কপি প্রদান করেনি।
সিরাজজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সাল থেকে ধুকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আশরাফুল আলম অফিস করেন না। তার বিরুদ্ধে লাইন ডাইরেক্টর বরাবর লিখে দিয়েছি। তাকে আমি চাকুরীচ্যুত করব।
Leave a Reply