শেখ মোঃ এনামুল হক,সিরাজগঞ্জঃ
জমি বন্টন করাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা দায়ের করার পরও মামলার বাদী সুকৌশলে জমি ক্রয় করে পুরনো বাড়ী দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে সাটিকাবাড়ীর কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০০১ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সাটিকাবাড়ী গ্রামের মৃত মনতাজ আলী ওরফে গাজীউর রহমান এর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক এর পৈতৃক জমি সাটিকাবাড়ী মৌজা জেএল নং-৯৪, খতিয়ান এসএ নং-৩, আর এস নং ১০২, এসএ দাগ নং ১০৮, আর এস দাগ নং ১১৬ থেকে ১৯ শতক জমি ক্রয় করেন ছাবেদ আলীর পুত্র মো: আব্দুস সামাদ সেখ। ২০০১ইং থেকে আব্দু সামাদ সেখ এর ৯.৫০ শতক জমিতে বসবাস করতে থাকেন তার ছোট ভাই কামাল উদ্দিন সেখ (বাদুলী)। ৯.৫০ শতক জায়গাতে ১ যুগের বেশি সময় বসবাস করার পরবর্তী ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ইং তারিখে মৃত ছাবেদ আলী সেখ এর পুত্র আব্দুস সামাদ সেখ এর ১৯ শতক জমির মধ্যে থেকে তার ছোট ভাই কামাল উদ্দিন সেখ (বাদুলী)কে দান কবলা দলিল করে দেন।
যার দলিল নং-৬৯৩৪, দলিলের ক্রমিক নং-৬৯৪৫, বহি:১। বর্তমানে আব্দুস সামাদ সেখ এর পুত্র কামাল উদ্দিন সেখ (বাদুলী) দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর ধরে ৯.৫০ শতক জমিতে বাড়িঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছে।
১৯শতক জমি সহ আরোও জমি পাওয়ার লোভে আদালতে ৪টি বন্টন নামা মামলা দায়ের করেন সাটকিয়াবাড়ী গ্রামের মো: নজরুল ইসলামের পুত্র কামরুল হাসান। বন্টন নামা মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। মামলার কোন রায় হয়নি। মামলা গুলো চলমান থাকতেই আদালতের রায় কামরুল হাসানের পক্ষে আসবে না মনে করে সুকৌশলে ১৯শতক জমি দখল করার জন্য সুকৌশলে মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে কবির উদ্দিন এর থেকে .১৬৪৬ একর, রতন আলী উদ্দিন .১৬৪৬ ও আনোয়ার খাতুনের .০৮২২ একর ভুমি তাদের নিকট থেকে গত ১৯ জুন ২০২৩ইং তারিখে খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সাটকিয়াবাড়ী মৌজার ৫৯৬ নং খতিয়ানে ৪. ৫. ৭৬. ৭৭. ১১৬. ১২০. ৩২০. ৩৬৪. ৮৬২ দাগ থেকে ৪১.১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-৫৯০৬, দলিলের ক্রমিক নং-৫৯০৭ ও বহিঃ নং-১। যে জমি গুলো ২২ বছর আগেই বিক্রি হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান,এই জমিগুলো কামরুল হাসানের দাদার সম্পত্তি। কামরুল হাসান প্রথমে জমি দখল নেওয়ার জন্য আদালতে ৪টি বন্টননামা মামলা দায়ের করেন। হয়তো বন্টননামা মামলায় কামরুল হাসানের পক্ষে রায় হবে না বলেই সূকৌশলে কামরুল হাসান চাচা কবির উদ্দিন, রতন আলী ও ফুফু আনোয়ারা বেগমের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে নেয়। যে জমির মধ্যে ২০০১ সালে বিক্রির জমি রয়েছে। কামরুল হাসানের দাদা ২০০১ সালে একবার জমির বিক্রি করে দিয়েছে, এখন আবার সেই জমি দখলে নেওয়ার আদালতে ৪টি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের মামলা মিমাংসা না হওয়ার পূর্বে আবার ২০২৩ সালে কামরুল হাসান ক্রয় দলিল তৈরী করে জমি দখল নিতে চাচ্ছে। কামরুল হাসান ক্রয় করে প্রায় ২২ বছর ধরে বসবাসকারীদের এখন উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছে।
এবিষয়ে কামাল উদ্দিন সেখ বাদুলী বলেন, আমার ভাই ২২বছর আগে কামরুলের চাচা আব্দুর রাজ্জাক এর কাজ থেকে ১৯শতক জমি কিনে নেয়। ১৯শতক জমি থেকে আমার ভাই আমাকে সাড়ে ৯শতক জমি বাড়ী করার জন্য দেয় আমি সেই জমিতে বাড়ী করে বসবাস করছি। কিন্তু নজরুল ইসলামের পুত্র কামরুল হাসান যাহার জন্মই নারায়ণগঞ্জ তিনি আমাদের পরিবারের মধ্যে অশান্তি করার জন্য পূর্বের বন্টন অস্বীকার করে আদালতে বন্টন মামলা করে। সেই মামলা চলমান থাকতে তাদের জমি পূর্বে বিক্রি করার পরও আবার সে কেনা বেচা করছে। এলাকায় মুরুব্বিরা বারবার এ বিষয়ে মিমাংসার চেষ্টা করলেও সে কোন মিমাংসা মানেনা।
Leave a Reply