আলী আশরাফ, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শালুয়াভিটা গ্রামে শাহেদ আলী সেখের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা হুসনে আরা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে সদর থানায় শাহেদ আলী সেখসহ কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে মামলার বাদী হুসনে আরা বলেন, শালুয়াভিটা গ্রামের তৌহিদের ছেলে শাহেদ আলী সেখ (৫৭) ভ্যান চালক হওয়ায় প্রতিদিন আমার শিশু মেয়েটিকে ভ্যানে চড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে আমার মেয়ের স্কুল থেকে আসতে দেড়ি হয়। পরে আমি মেয়েকে আনতে স্কুলের দিকে রওনা হয়। এসময় স্কুলের ছেলে মেয়েরা খবর দেয় আমার মেয়েকে শাহেদ আলী সেখ তার বাড়ীতে নিয়ে গেছে। পরে আমি টের পেয়ে শাহেদ আলী সেখের বাড়ীতে গিয়ে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলি। এসময় আমি শাহেদ আলী সেখের স্ত্রী ও তার বড় ভাইসহ স্থানীয়দের অবগত করেন।
তিনি আরো বলেন, পরে ঐ এলাকার মুরুব্বীরা শাহেদ আলী সেখের আতœীয় শহিদুল্লাহ ও মুরগী আলমগীর বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার জন্য আমাদের নিকট অনুরোধ করে। পরে শহিদুল্লাহ ও মুরগী আলমগীর বিচার দেওয়ার নামে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। এরমধ্যে শাহেদ আলী সেখকে শহিদুল্লাহ ও মুরগী আলমগীর কৌশলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
পরে তারা শিশুটির মা-বাবাকে হুমকী দিয়ে বলেন, বিষয়টি যেন কাউকে না জানে। থানা পুলিশকে অবগত না করার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। এই ঘটনা সারা গ্রাম জানা জানি হলে রাতের অধারে শাহেদ আলী সেখ বাড়ীর সকল জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সহযোগিতা করে মুরুব্বী শহিদুল্লাহ ও মুরগী আলমগীর। এ ঘটনায় তাদের সবার মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিশুটির মা আরো বলেন, আমার মেয়ে সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে শাহেদ আলী সেখ আমি এর বিচার চায়। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছে। সঠিক তদন্ত করে আমার মেয়ের ধর্ষকের উযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ও পরিবার এলাকার মাতব্বরদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। মুরগী আলমগীর বলেন, আমি ও শহিদুল্লাহ মিলে ঘটনাটি মিমাংশার বিষয়ে কথা বলে ছিলাম। কারণ তারা উভায় আমাদের আতœীয় হয়। আর শাহেদ আলী সেখ বাড়ীর থেকে কবে পালিয়ে গেছে আমি জানিনা।
অভিযুক্ত শাহেদ আলী সেখ এর বাড়ীতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নে শালুয়াভিটা গ্রামে শিশু সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় শিশুটির মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply