নিজস্ব প্রতিবেদক:
৭দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকার ৪২টি কর্মসূচি অংশগ্রহণ করে রেকর্ড সৃষ্টি করে প্রসংসায় ভাসছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। এর মধ্যে ১৫ আগষ্ট একদিনে সর্বোচ্চ ১০টি কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে গড়েছেন আত্মিক সম্পর্ক।
৯ আগষ্ট থেকে ১৫ আগষ্ট রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগদান, দলীয় কর্মসূচি ও বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকি, উঠোন বৈঠক ও জাতীয় শোক দিবসের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ।
৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮টায় কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর ৭ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন তিনি আরও ৫টি কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরদিন ১০ আগষ্ট ৭টি, ১১ আগষ্ট ৫টি, ১২ আগষ্ট ৬টি, ১৩ আগষ্ট ৬টি, ১৪ আগষ্ট ৪টি এবং ১৫ আগষ্ট সর্বোচ্চ ১০টি কর্মসূচিতে অংশ নেন। ১৫ আগষ্ট রাতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করেন। এছাড়াও নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
শিয়ালকোল ইউপি সদস্য সজল বলেন, গত ১০ বছরে শিয়ালকোলে ৫৪ বার এসেছেন আমাদের এমপি মহোদয়। আগে কোন এমপি এটা করতে পারেননি।
খোকশাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান মোল্লা বলেন, এমপি মুন্না প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তৃণমূলের মানুষের সুখ-দু:খের কথা শোনেন। এলাকার উন্নয়নের তদারকি করেন। যে কোন প্রোগ্রামে ডাকলেই তাকে পাওয়া যায়।
সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলার উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না সামাজিক ও মানবিক কাজ করে আসছেন। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জের জনসভায় তাঁকে উন্নয়ন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকেই তিনি বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। ২০১৪ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করছেন। নির্বাচনী এলাকায় এসে প্রতিদিনই গড়ে ৫/৬টি করে প্রোগ্রাম করেন। পরিশ্রমের পরও তাকে ক্লান্ত হতে দেখা যায়নি।
জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকতে তিনি দলের ১১৬টি ইউনিটের নেতা নির্বাচন করেন ভোটের মাধ্যমে। যেটা এর আগে কখনো হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি গ্রামের পর গ্রাম ছুঁটে বেড়াচ্ছেন। উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকি করছেন। সৎ ও পরিশ্রমী নেতা হাবিবে মিল্লাত মুন্না। জামায়াত-বিএনপি একমাত্র তাঁকে দেখেই ভয় পায়।
এ বিষয়ে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির তালিকার বাইরেও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে ৪২টি কর্মসূচি হয়েছে। ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সপ্তাহে ৩/৪ দিন আমি নির্বাচনী এলাকায় সময় দিয়েছি। প্রতিদিন গড়ে ৫/৬টি করে প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে আমি মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যেতে পেরেছি। মানুষের সু:খ-দু:খের কথা শুনে সেই মতো কাজ করেছি। জঙ্গীবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করেছি। নির্বাচনী এলাকায় এসে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন কর্মকান্ডের তদারিক করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে গত ১০ বছরেই ৬৬ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে বলে একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে। যেটা চ্যানেল নাইনে প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বলেন, গত ১০ বছরে আমার নির্বাচনী এলাকায় এমন কোন গ্রাম নেই যে গ্রামে একাধিকবার আমি যাইনি। এ কারণে এলাকার মানুষের সাথে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
Leave a Reply