নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এম আর আই মেশিন না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ জেলার লাখ লাখ দরিদ্র রোগীরা। এদিকে
মেশিন ক্রয় বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত ১৪ কোটি টাকার পে অর্ডার ভাঙিয়ে না দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ অকারনে দেড় বছর ধরে পে অর্ডার ঝুলিয়ে রাখায় গত (১৮ অক্টোবর) ২০২৩ তারিখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৮ তারিখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্রীন ট্রেডকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এম আর আই মেশিন সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদান করে এবং ওই বছরের জুন মাসে হাসপাতালের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্রীন ট্রেডকে এম আর আই মেশিন সরবরাহ করা বাবদ ১৪ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করে । বিশ্ব করোনা ও মহামারীর কারণে এম আর আই মেশিন প্রদান করা যায়নি বলে ১৭ জুন একটি অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। বিল প্রদান কালে গ্রীন ট্রেড কোম্পানি এম আর আই মেশিন ক্রয়ের বিপরীতে নিরাপদ জামানত হিসাবে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পে-অর্ডারে স্বাক্ষরিত চেক ইস্যু করা হয়। যাহার নম্বর (০১) PO, 3580862 সাত কোটি টাকা ও (২) পে-অর্ডার ন PO3580864, সাত কোটি দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা সর্বমোট ১৪ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ইনক্যাশমেন্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মালামালের বিপরীতে পে-অর্ডারে স্বাক্ষরিত চেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রদান করে । নির্ধারিত সময়ের পরে কয়েক দফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৌখিক ও লিখিত ভাবে তাগাদা দেওয়ার পরও মেশিনটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, ধানমণ্ডি সাত মসজিদ রোড শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদ্দুজামান জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। পে অর্ডারের টাকা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন বলে এড়িয়ে যান।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমি বোর্ড মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা হবে।
এবিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, টাকা উত্তোলনের আমরা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি ।এমনকি টাকা না দিয়ে আদালতে অহেতুক হয়রানি করছে ঠিকাদার ও প্রিমিয়ার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমার এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই দফা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। পে অর্ডার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি আরও জানান পে অর্ডারের টাকা পরিশোধ করতে প্রিমিয়ার ব্যাংক বাধ্য।
Leave a Reply