নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শারীরিক মেলামেশার পর কিশোরীর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। জাকির হোসেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
জানা যায় মেয়ে এবং ছেলের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় বিভিন্ন সময় রাস্তা ঘাটে চলাফেরার পথে ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই বছর যাবত ওই মেয়ের সাথে শারীরিক মেলামেশা করে আসছিল অভিযুক্ত জাকির হোসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন কথোপকথন এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ের অশ্লীল এবং নগ্ন ছবি তার ফোনে নেয়। পরবর্তীতে আবারও মেয়েকে শারীরিক মেলামেশার জন্য চাপ দেয়। মেয়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং মেয়ে ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তার এই অশ্লীল এবং নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে ছেলের কথায় রাজি না হওয়ায় মেয়ের অশ্লীল ও নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মেয়ের বাবা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তার মেয়ের নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় তাদের মান সস্মান সবই হারিয়ে ফেলেছেন তারা। সমাজে মুখ দেখানোই তাদের জন্য দুরুহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা জাকিরের পরিবারের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কয়েকদফা আলোচনা ও অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিন্তু ওই পক্ষ বিয়েতে রাজি হননি। বরং থানায় তার মেয়ে অভিযোগ দেবার পর ছেলের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকিরের সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জাকিরের বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
জাকিরের চাচাতো ভাই আবু হানিফ জানান, জাকিরের পরিবার তার কর্মকান্ডের দায় গ্রহন করবে না। মেয়ে পক্ষ যেহেতু আইনের আশ্রয় নিয়েছে সেক্ষেত্রে আইনে জাকিরের যা হয় হবে। তবে বর্তমানে মেয়ে পক্ষকে হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরির্দশক শহিদুল ইসলাম মেয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রের কথা স্বীকার করে জানান, পুলিশ জাকিরকে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
Leave a Reply