মো. শাহাদত হোসেন.উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় সিরাজগঞ্জের শিক্ষানগরী বলে খ্যাত উল্লাপাড়া উপজেলার চারটি মাদ্রাসায় একজন ছাত্রও পাস করতে পারেনি।
রোববার (১২ মে) মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, উপজেলার বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় কোনো পরীক্ষার্থী দাখিল পাস করতে পারেনি।
এছাড়া উপজেলার আরও তিনটি মাদ্রাসা থেকে মাত্র একজন করে শিক্ষার্থী দাখিল পাস করেছে।
জানা গেছে, বগুড়া দাখিল মাদরাসায় ১৫, এলংজানী মাদরাসায় ১২, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসায় ১৪ ও বড় কোয়ালিবেড় মাদ্রাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়।এসব মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।
অন্যদিকে, উপজেলার খোন্দকার নুরুন্নাহার দাখিল মাদ্রাসায় ১০, উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৬ ও হাজী আবেদ আলী মেমোরিয়াল মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।এ তিনটি মাদ্রাসা থেকে মাত্র একজন করে পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
এ বিষয়ে এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের দাখিল পরীক্ষার্থীরা বছরের বেশিরভাগ দিনই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল।এদের অভিভাবকদের বার বার বিষয়টি জানলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন সবাই ফেল করে মাদ্রাসার দুর্নাম করল। শিক্ষকরা এজন্য খুবই লজ্জিত।
বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান, এখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। এরা একেবারেই লেখাপড়া করে না। অনেক চেষ্টা করেও এদের ক্লাসে মনোযোগী করা যায়নি।
বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শফিক উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাদ্রাসা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করার ফলেই এ অবস্থা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান, শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানো হবে। এছাড়া ফেল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
Leave a Reply