ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ.
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আমার কোন বাবার দেশ, দাদার দেশ-মাসির দেশ নাই যে সেখানে গিয়া আশ্রয় নেব, আমি এই দেশের জন্ম নিয়েছি, সুখ দুঃখে এদেশেই থাকতে চাই। তারা এমন রাজনীতি তারা করেছে দেশে তাদের জায়গা হলো না। অথচ বিগত দিনে আমাদের ওপর কত জুলুম নির্যাতন হলো। আমরা কিন্তু পালাইনি। এটা আমাদের দেশ। আমরা এখানেই থাকবো। এই বিদায়ী জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে দেশের কেউ রক্ষা পায়নি। নারী, পুরুষ, শিশু এমন কোন জায়গায় নাই তারা জুলুম করেনি। এই জুলুমবাজ সরকারের হাতে সাধারণ জনগণ কথা বলতে পারে নাই। তারা সবচেয়ে বেশি অন্যায় করেছে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে। তারা আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। জালিম সরকারের নানা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক সাথীকে তারা হত্যা করেছে। অবশেষে তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জে দারুল ইসলাম একাডেমিক মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কারও ওপর প্রতিশোধ নেবেন না। তবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের দেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু ইস্যু হচ্ছে সমাজকে শোষণ করার অন্যতম হাতিয়ার। তাই কোনোভাবেই সম্প্রীতি নষ্ট করা চলবে না। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে। আর কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেওয়া যাবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের কোনো সাংবাদিক স্বাধীন ছিল না। এখন আপনারা স্বাধীন। আপনারা বিবেক দিয়ে কাজ করবেন। আমরা ঘোষণা দিয়েছি কোনো প্রতিশোধ নেবো না। এটা যুগ যুগ প্রতিহিংসা ছড়ায়। আমরা এ রাজনীতি করি না। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় সব মোকাবিলার কথা বলেছি।
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামাতের প্রচার ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় জেলার সকল উপজেলার নায়েবে আমির ও বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত ইসলামীর রুকন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply