সামিউল হক শামীম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আধুনিক কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এই যন্ত্র ব্যবহারে যেমন স্বল্প সময়ে সারিবদ্ধভাবে ধানের চারা লাগানো যায়, তেমনি খরচও কম। এ কারণে কৃষকেরা এই যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাঁরা যন্ত্রটি সহজলভ্য করার দাবি জানিয়েছেন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ অন্যান্য আধুনিক কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করছে। চলতি বছর এ উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের সমলয় চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
বোরো মৌসুম এলেই কৃষকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। শ্রমিক সংকটের কারণে ভোগান্তি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অনেক সময় যথাসময়ে জমিতে সঠিকভাবে ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি খরচও বেড়ে যায়। কিন্তু রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে চারা রোপণ করে উপকৃত হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার কৃষকেরা।
এ দিকে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের দিঘীসগুনা এলাকায় ফসলী মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপন উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
কৃষক আবু হাসেম বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে তিন থেকে চারজন কামলা লাগত। এতে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হতো। আধুনিক এই যন্ত্রের সাহায্যে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যায়। খরচও অনেক কম হয়।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কৃষকদের আধুনিক কৃষক হিসেবে গড়ে তুলতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের সুবিধার্থে ভর্তুকির মাধ্যমে এই যন্ত্রসহ অন্যান্য আধুনিক যন্ত্র সরবরাহ করছে। এতে করে কৃষকেরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।’
Leave a Reply